Bangla Golper Boi | Bengali Books Online | Mayar Badhon
Bangla Golper Boi | Bengali Books Online | Mayar Badhon
"মায়ার বন্ধন বড় কঠিন৷ চোখে দেখা যায় না বটে, তবে ছিঁড়ে-ছুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে তা আরও শক্ত হয়ে জড়িয়ে যায়। নিজের কাছে রেখে দিলে পাথরের টুকরোর প্রতিও মায়া পড়ে যায়।"
ভয়। মানুষের আদিমতম প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা। আর ভয় বলতেই বুঝায় 'অজানা কিছু'র একটা অস্তিত্ব। যদিও বিজ্ঞানের আলোয় 'অজানা কিছু'র তালিকা ছোট হয়ে গেছে এবং অন্ধকারের পরিসীমাও কমে আসছে কিন্তু তবুও নিজের অস্তিত্বের ন্যায় অনস্তিত্বে ভয়ের বিশ্বাস মানুষের আরো জোরালো হয়েছে। ভয়কে কেন্দ্র করেই হরর গল্পের খ্যাতিলাভ। আর হরর গল্পের মধ্যে কয়েকটা ধারা বা উপশাখা আছে যার মধ্যে গথিক হরর একটা উপশাখা। গথ নিয়ে এর আগেই একদিন লিখেছিলাম। গথ থেকেই গথিক শব্দের উৎপত্তি। এক কথায় বললে, ভয়ংকর সুন্দরের পূজারী যারা।
Bangla Golper Boi
গথরা আঁধার ভালোবাসে, আঁধারের সেই কালো রঙটা নিজেদের সাথে মেশানোর চেষ্টা করে, মৃত্যুর মতো করুণ একটা বিষয়কে সৌন্দর্যের চোখে দেখে, আপাত দৃষ্টিতে যা কুৎসিত তার ভেতরের সৌন্দর্য অবলোকন করে গথরা। তবে জানার বিষয় হচ্ছে, গথিক হরর গল্পের বিস্তার হয়েছিল একটা অতিপ্রাকৃত আর উদ্ভট ঘটনার প্রেক্ষিতে। ১৭২৬ সালের কথা। অস্ট্রিয়ার মেডভেজিয়া নামক এক স্থানে ঘোড়ায় টানা গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় আর্নল্ড পাওয়েল নামে এক লোকের। মৃত্যুর আগে পাওয়েল দাবি করতেন, তাকে খুব সম্ভব ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা জাতীয় কিছু একটা কামড়ে দিয়েছিল। পাওয়ালের মৃত্যুর পরপরই সে এলাকায় রহস্যজনকভাবে মানুষ মরতে শুরু করে। প্রশাসন তদন্ত শুরু করে নির্দিষ্ট উত্তর খুঁজে না পেলেও প্রচণ্ড রকমের উৎসাহ পেয়েছিলেন (সম্ভবত) পৃথিবীর প্রথম গথিক হরর উপন্যাসের লেখক হোরাস ওয়ালপোল। বলা হয়ে থাকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ওয়ালপোল তার বিখ্যাত গথিক উপন্যাস "দ্য ক্যাসল অব অটরান্টো" রচনা করেন। এরপর মেরি শেলী, এডগার এলেন পো, ব্রাম স্টোকার, বডেলিয়ার কিংবা লাভক্র্যাফট এদের লেখা দিয়ে গথিক হররের ধারাটা টিকে আছে। গথিক হরর- অন্ধকার আর অপছায়ার মধ্যে সৌন্দর্যের মায়া।
"আলোর উপস্থিতিতে যা চোখে পড়ে, তাকে সবাই বাস্তব ভাবতে বাধ্য। আঁধারের মাহাত্ম্যটা কিন্তু এখানেই; দৃষ্টির অগোচরে মানুষকে সবকিছুর অস্তিত্ব উপলদ্ধি করায় তা৷ সেই অস্তিত্বকে যেমন পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় না, ঠিক তেমনি অবিশ্বাসেরও সুযোগ নেই।"
গথিক হরর মানেই অস্বাভাবিক রকমের ভুতুড়ে কান্ড, এমন ভাবাটা বোকামি হবে। অবশ্যই ভুতুড়ে কান্ড আছে তার সাথে শিহরিত আর রোমাঞ্চিত হওয়ারও ব্যাপক উপাদান থাকে। আর তাছাড়া, এর সাথে মৃত্যু, অতীতের বেদনাদায়ক ঘটনা, প্রতিহিংসা, প্রেম, অভিশাপ এবং প্রতিশোধ এসবও থাকবে। আর এর সাথে যদি প্রচ্ছদ আর বইটার নামে গল্পের গহীনে আঁধারে হারিয়ে যাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। বাতিঘর থেকে প্রকাশিত ওয়াসি আহমেদ এর প্রথম মৌলিক উপন্যাস "আঁধারের গহীন নিরুদ্দেশে" বইটার কথা বলছি। বাতিঘরের পেইজ আর বাইন্ডিং বরাবরের মতোই তবে যেটার বলার তা হলো প্রচ্ছদ আর নাম। নামটা অনেক কাব্যিক শোনালেও গল্পের শেষে নামের সার্থকতাটা টের পাওয়া যায়। আর প্রচ্ছদটাও বেশ ভালো হয়েছে।
Read More About : Bangla Golper Boi
“গুণীজন নিজের গুণের কদর শুনতে পছন্দ করে। ভাস্কর মূর্তি গড়ে, গাতক গান গায়, আঁকিয়ে ছবি আঁকে-এখানে মূল উদ্দেশ্যটা শুধু নিজের আত্মার খোরাক মেটানো নয়; সাধারণ লোকে মুগ্ধ হয়ে শিল্পকর্মের প্রশংসা করবে, এতেই তার প্রকৃত আনন্দ।"
কাহিনীপ্রসঙ্গঃ ১৯১৮ সাল। অবিভক্ত বাংলায় তখন ব্রিটিশদের রাজত্ব। তবে এই ব্রিটিশদের রাজত্বে বসেও বৃটিশদেরই শেখানো চা দিয়ে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে সুবোধ ঘোষ। সকাল সকাল সুবোধের হাতে বানানো এক কাপ চা না খেলে এই তল্লাটের অনেকেরই দিন খারাপ যায়। কিন্তু বাষট্টি বছর বয়সী শরীরটা আগের মতো সাহায্য করে না সুবোধ ঘোষকে। মনের এই কথাটাই দেবতা নাহয় অপদেবতার কানে যায়, যার ফলশ্রুতিতে মাঘের কোন সকালে বিকলাঙ্গর ন্যায় দেখতে এক ছেলেকে খুঁজে পায় সুবোধ ঘোষ। কানাই নাম দেয়, থাকার ঘর দেয়, দুবেলা দুমুঠো খেতে দেয় তার বদলে শুধুমাত্র দোকানটার দেখাশুনা করতে হবে ব্যস এইটুকুই। দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছিলো কিন্তু একদিন কানাই উধাও হয়ে যায় অভিমান করে। দেবতার আর্শীবাদ তখন অপদেবতার অভিশাপে পরিণত হয়। এক রাতে কানাই ফিরে আসে সুবোধের ঘরে কিন্তু চিরচেনা সেই কানাই হয়ে না; অতিপ্রাকৃত আর অলৌকিক শক্তি সাথে নিয়ে।
ছয় মাস পরের ঘটনা। মাধবগঞ্জ নামক রহস্যেঘেরা গ্রামে পা পড়ে কলকাতা থেকে আসা নওয়াজেশ হায়দার চৌধুরী নসিব এর। সাথে বাবার আসার কথা থাকলেও বাবার মৃত্যু তা হতে দেয়নি। বাবা মৃত্যুর আগে নসিবকে কিছু একটা বলতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। সেই অজানা প্রশ্ন মনে পুষেই গ্রামে এসেই উঠে বাবার খুব কাছের বন্ধু মোস্তফা সিরাজ যাকে মোস্তফা মাস্টার বলে গ্রামের সবাই ডাকে। রসায়নে বি.এড করা মোস্তফা সিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী হওয়া সত্ত্বেও কোন এক অজানা রহস্যে গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। নসিব কলকাতা থেকে গ্রামে এসেছে মাধবগঞ্জে থাকা এক বাউলের জীবন আর কর্ম নিয়ে একটা ব্যক্তিগত অনুসন্ধানের কাজে। নসিবের খাতিরদারি যেন কোন ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে বরাবর সচেতন মোস্তফা মাস্টার; শুধুমাত্র বন্ধুর ছেলে বলে নয় এই পরিবারটার কাছে খুব বেশী ঋণী মোস্তফা মাস্টার। পুরানো পরিত্যক্ত স্কুলঘরটা পরিষ্কার করে দেয়া হয় নসিবের জন্যে। এক রাতে গ্রামের অনিতার সাথে পরিচয় হয় নসিবের কিন্তু গ্রামের মানুষ সেটা বাঁকা চোখে দেখে। অন্য এক রাতে নিজের রাঁধুনি যতীনের সাথে চলাচলের সময় খোঁজ পায় রহস্যঘেরা এক প্রাচীন কটেজের যেখানে দিনেদুপুরে গ্রামের মানুষজন যেতেও ভয় পায়। আর ঠিক তার পর থেকেই গ্রামে কিছু অদ্ভুত আর রহস্যঘেরা মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বাউল সাহেব আলী এক রাতে গান শোনাতে এসে নসিবকে এমন কিছু একটা বলে যাতে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয়ে পড়ে নসিব নিজেই।
১৮৫৯ সাল। নীলকুঠিরের ছোট সাহেব জেফরি অ্যান্ডারসন যে কিনা এডিনবার্গে এককালে যাদুর প্রদর্শনী করতো কিন্তু জমাতে পারেনি বলে কোম্পানির হয়ে এখানে আসা। কি খারাপ কপাল অ্যান্ডারসনের? তা নাহলে কি আর নীলকুঠিতে আসামাত্রই নীলকররা বিদ্রোহ করে বসে? নিজের জান বাঁচাতে কুঠিরের পেছনে থাকা জঙ্গলে দৌড় দেয় অ্যান্ডারসন। লোকে ভাবে বাঘের পেটে যাবে সে কিন্তু না অ্যান্ডারসন ফিরে আসে নতুনরূপে মাধবগঞ্জে। মাধবগঞ্জে সার্কাসের পসরা বসায় অ্যান্ডারসন আর সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সাতান্ন বছর আগে একদল ঠগির মৃত্যুর পর যেখানে ভয়ে কেউ পা বাড়ায়নি ঠিক সেখানেই গড়ে তোলে রহস্যময় এক সুন্দর কটেজ। অথচ নিজে থাকেন তাবুতে আর রাত বাড়লেই চলে যান রঙিলাবাড়ির মধুবালার কাছে। এক রাতে মধুবালার কোলে আসা অ্যান্ডারসনের সন্তান আর অন্য এক ভোরে কোন এক অভিশাপ থেকে বাঁচতে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে কটেজে রেখে পালিয়ে যান অ্যান্ডারসন।
কানাই কি সুবোধ ঘোষের জন্যে দেবতার আশীর্বাদ ছিল নাকি অপদেবতার অভিশাপ? সুবোধ ঘোষেরই বা এমন কি দোষ ছিল? কানাই বা কোথা থেকে অলৌকিক শক্তির খোঁজ পেয়েছিল? নসিবের বাবা নসিবকে কি বলতে চেয়েছিল? মোস্তফা মাস্টারই বা কেন গ্রামে এসে থাকেন? আর নসিবের পরিবারের তার এত কৃতজ্ঞতা কেন? অনিন্দ্যসুন্দর অনিতার সাথে কি নসিবের প্রণয়ঘটিত কোন সম্পর্ক ছিল? রহস্যঘেরা সেই কটেজটারই বা পেছনের কি ইতিহাস থাকতে পারে? বাউল সাহেব আলী নসিবের সম্পর্কে কিভাবে জানতো? অ্যান্ডারসন কীভাবে বা কার সাহায্যে বেঁচে গিয়েছিল জঙ্গলে? অ্যান্ডারসন কিসের অভিশাপ থেকে বাঁচতে নিজের সন্তানকে উৎসর্গ করেছিল? গল্পে শতাব্দীর ফারাকটা কি কেবলই নিছক নাকি প্রতিটা ঘটনা একে অপরের পরিপূরক?
লেখকপ্রসঙ্গঃ ওয়াসি আহমেদ পেশায় চিকিৎসক এবং নেশায় পাঠক আর বই সংগ্রাহক। ফেসবুকে তার বন্ধুলিস্টে থাকা কমবেশী সবাইই হিংসে করে তাকে কেননা প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন লেখকের রচনাবলী সমগ্র কিনবেই কিনবে। নেশা উঠলে টাকা ভুতে যোগায় ব্যাপারটা অনেকটা এমন। যাই হোক, লেখালেখির শুরুটা সুদূর শৈশবে হলেও পরিণত বয়স হওয়ার পরই সাহিত্যজগতে অনুপ্রবেশ। শুধুমাত্র লেখালেখি কিংবা চিকিৎসা নয় এছাড়াও ছবি তুলা, গান গাওয়া, গল্প বলাতেও দক্ষতা আছে লোকটার। মৌলিক লেখার আগে বেশকিছু অনুবাদ করে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার অনুদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে- দ্য জুডাস স্ট্রেইন, দ্য স্পাই, নর্স মিথলজি, মিশর পুরাণ, উই হ্যাভ অলওয়েজ লিভড ইন ক্যাসল, কোরালাইন এবং আফটার ডার্ক। যেই পরিমাণ বই সংগ্রহ করেন এবং পড়েন সে হিসাবে তার মৌলিকই অনেকগুলা হওয়ার কথা। আর তাছাড়া, লেখার ধরনে তাইই প্রকাশ পায়। কিন্তু হয়তো নিজের সীমাবদ্ধতাটা বুঝেন তাই এবারই প্রথম মৌলিক লিখলেন। সে যাই হোক, লেখার সৌন্দর্যতা সম্পর্কে বলার কিছু নেই। এককথায় অসাধারণ লেগেছে। গল্পের ভাজে ইতিহাস জানানোটা অনেকটাই কঠিন। আর সেটাই ওয়াসি ভাই খুব সহজ-স্বাভাবিকভাবেই তুলে ধরেছেন।
"অনুদান পাওয়ার সময় মানুষ লোভী হয়ে উঠে৷ প্রতিদানে অনেক বড় আত্মত্যাগের শর্ত থাকলেও মোহের বশে খেয়াল থাকে না তখন। অবশেষে যখন টনক নড়ে, ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়!"
একজন পুরোদস্তর লেখক হতে হলে আগে একজন পুরোদস্তর পাঠক হতে হয়। তা নাহলে পাঠক লেখকের লেখায় খেই হারিয়ে ফেলে। আর তা যদি বর্তমানে বসে এক-দেড়শো বছর আগের কাহিনী হয় তা হলে তো সেটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাও একেবারেই নতুন আনকোরা একজন লেখকের পক্ষে। কিন্তু, ওয়াসি ভাই বর্তমানে বসেও এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে গল্প বলেছেন যে মনেই হয়নি লেখকের প্রথম মৌলিক এটা। আর একশো-দেড়শো পৃষ্ঠার একটা বইতে বড় পরিসরে গল্প চালিয়ে নেয়া, দুটো প্যারালাল স্টোরিকে একজায়গায় এনে দাড় করানো এবং চরিত্রের মোক্ষম গঠন চাট্টিখানি কথা না। সবকিছুই খুব ভালোভাবে নিজের লেখা আর মেধায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। হ্যা অসঙ্গতিও আছে। শব্দগত ভুল একদমই কম ছিল যা ছিল তাও চোখের পড়ার মতো না। অধ্যায়গুলো সব সংখ্যায় লিখা হলেও একটাতে কথায় লেখা হয়ে গেছে। গল্প শেষের আগে আগে অল্প কিছু জায়গা গতিহীন লেগেছে। উপন্যাসের জনরা নিয়ে কিছুটা কনফিউশন আছে। গথিক উপন্যাস বলা হলেও থ্রিলাররর স্বাদ আছে আবার কিছু জায়গা পড়ে আরবান ফ্যান্টাসির মতো মনে হয়েছে। সে যাই হোক, গল্পের আবহটা এমনভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখেছেন যে ভয় না পেলেও আস্তে আস্তে গল্পের ভিড়ে সেই ভয়ের দিকেই ঠেলে নিয়ে গেছেন লেখক। না খুব বেশী বই পাওয়ার মতো বই এটা নয় কিন্তু অদ্ভুত ভালোলাগার মতো একটা বই। বইটা পড়ার একটা দীর্ঘ সময় ধরে অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করবে। একই সাথে অনেক কিছু জানাটা অদ্ভুত ভালোলাগারই ব্যাপার বটে।
ভালো লাগা কিছু উক্তিঃ
"উত্তাল সময় জন্ম দেয় উন্মত্ত মানুষের!"
"ঈশ্বর যে সৌন্দর্যকে নিজ হাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তাকে এক জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা মানে সৃষ্টিকুলের প্রতি অবিচার করা।"
"বেঁচে থাকার এটাই প্রকৃত আনন্দ, হুটহাট নিজেকে অচল করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।"
"আলোতে পথ চিনতে যে ভুল করে, আঁধারের গহীন নিরুদ্দেশে সে তো হারাবেই।"
"সীমা বলে আদৌ কিছু যদি থেকে থাকে-তা সসীম, অসীম যাই হোক না কেন, মানুষের সাধারণ লৌকিক জ্ঞানে সেই পরিমাপ ধরা যায় না। আর সেকারণেই প্রাণের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ যখন মহা-প্রাণ দেখা দেয়, তখন তার স্বরূপ বোঝাও অসম্ভব হয়ে ওঠে।"
"আত্মা, সত্তা, শক্তি, উপস্থিতি-যে নামেই ডাকা হোক না কেন, জগতে যখন কারো সহসা আগমন ঘটে তখন তার কারণ সব সময় উদঘাটন করা যায় না।"
"অশুভের প্রতি সহানুভূতি, কখনও শুভ ফল বয়ে আনে না!"
“তবুও তো প্যাঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহুর্তের ভিক্ষা মাগে
আরেকটি প্রভাতের ইশারায়-অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।” -জীবনানন্দ দাশ।
"ঈশ্বর যে সৌন্দর্যকে নিজ হাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তাকে এক জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা মানে সৃষ্টিকুলের প্রতি অবিচার করা।"
"বেঁচে থাকার এটাই প্রকৃত আনন্দ, হুটহাট নিজেকে অচল করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।"
"আলোতে পথ চিনতে যে ভুল করে, আঁধারের গহীন নিরুদ্দেশে সে তো হারাবেই।"
"সীমা বলে আদৌ কিছু যদি থেকে থাকে-তা সসীম, অসীম যাই হোক না কেন, মানুষের সাধারণ লৌকিক জ্ঞানে সেই পরিমাপ ধরা যায় না। আর সেকারণেই প্রাণের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ যখন মহা-প্রাণ দেখা দেয়, তখন তার স্বরূপ বোঝাও অসম্ভব হয়ে ওঠে।"
"আত্মা, সত্তা, শক্তি, উপস্থিতি-যে নামেই ডাকা হোক না কেন, জগতে যখন কারো সহসা আগমন ঘটে তখন তার কারণ সব সময় উদঘাটন করা যায় না।"
"অশুভের প্রতি সহানুভূতি, কখনও শুভ ফল বয়ে আনে না!"
“তবুও তো প্যাঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহুর্তের ভিক্ষা মাগে
আরেকটি প্রভাতের ইশারায়-অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।” -জীবনানন্দ দাশ।
বইঃ আঁধারের গহীন নিরুদ্দেশে
লেখকঃ ওয়াসি আহমেদ
মূল্যঃ ১৫০/-
প্রকাশনীঃ বাতিঘর
লেখকঃ ওয়াসি আহমেদ
মূল্যঃ ১৫০/-
প্রকাশনীঃ বাতিঘর
অটঃ রিভিউ প্রায় মাসখানেক আগেই লেখা হয়েছে কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না জুতসই একটা ছবি তোলার। আমার রিভিউয়ের সাথে যারা পরিচিত তারা জানেন যে আমি পছন্দসই ছবি ছাড়া রিভিউ আপ দেই না। যাই হোক, একে তো বিবিসি মিডিয়ার সাথে শুটিং এর কাজ নিয়ে সময় পাচ্ছিলাম না আর দ্বিতীয়ত বাসা বদলানোর জন্যে আমার ছবি তোলার অনেক উপকরণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক কষ্ট করে এই কয়টা যোগাড় করেছি। কঙ্কালের যে হাড়গুলো দেখছেন সেগুলো বিবিসির সাথে শুটিং এর সময় যোগাড় করেছিলাম পুরো কঙ্কালের শরীর সহ। গথিক হরর ধারার বলেই এগুলো দিয়েই চালিয়ে দিলাম। আর এই রিভিউ আগের সব রিভিউকে টপকে গেছে। এ পর্যন্ত এইটাই মে বি আমার সবচাইতে বড় রিভিউ তবুও রিভিউ লেখার পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাইনি কিছুটা রয়ে গেছে যদিও বইটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। আর হ্যা, তিনটা ছবির কারন হচ্ছে প্রথম দুইটা আমার তোলা আর বাঁশের বুড়োর প্রতিকৃতির ছবিটা মেঝ ভাইয়্যার কমান্ডে তোলা। ছবিগুলো কেউ ব্যবহার করতে চাইলে করতে পারেন কিন্তু তাই নিজ নামে চালিয়ে দিবেন না। ঠিক আছে, আমার বকবকানি এখানেই থামালাম। ভালো থাকবেন আর বই পড়বেন।
Keyword For This Article
bengali books online |
bangla ebook pdf |
bangla book free download |
bangla islamic book |
bengali books free download |
bengali ebook library |
bangla book online |
bangla novel pdf |
bengali ebook collection |
bengali books pdf free download |
golper boi |
bengali story books pdf |
all bangla books pdf |
bengali pdf |
No comments