Breaking News

Bangla Islamic Book Review Competion By ইসলামি বই Facebook Group

Bangla Islamic Book Review Competion By  ইসলামি বই Facebook Group









মাকবাতুল বায়ান ইসলামি বই গ্রুপ রিভিউ প্রতিযোগিতা ডিসেম্বর_২০১৮:



বই:শেষ রাত্রির গল্পগুলোলেখক:আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীবপ্রকাশক:ওমর ফারুক প্রকাশনী:সন্ঞারী পাবলিকেশন পৃষ্ঠা :140 মূল্য :300 




#বই রিভিউ :
রিভিউ এর শুরুতেই লেখকের বই এর প্রথমে যে কবিতার লাইন তা দিয়েই শুরু করি-
"বুকের খাতায় খুব যতনে 
একটা স্বপন আঁকি 
ফিরদাউসের ফুল বাগানে 
আমি হবো পাখি।"
লাইনটা পড়ে মনে হলো যেনো নিজের মনের ভেতর একটা অন্যরকম আবেগ এর সৃষ্টি করলো যার পুলক আসলে ভাবে প্রকাশ করার মতন না।এবার বইটি সম্পর্কে ছোট করেই বলি :গতানুগতিক ধারার বইগুলি থেকে পুরোপুরি ভিন্নধর্মী।লেখক তার জীবনের দিনলিপির পাতা থেকে লেখা নানান সময় এর অভিজ্ঞতাগুলিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন।লেখক গল্প করতে করতে কি করে আল্লাহ্ কে ভালোবাসতে হয়; কি করে রাসূলকে তার সুন্নাহ কে মনে ধারণ করতে হয় অন্তকরণ দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের আলোকে বিভিন্ন ঘটনার আঙ্গিকে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বল্প পরিসরে।সাথে সাথে বিভিন্ন সাহেবা কেরামদের জীবনের নানান চমকপ্রদ ঘটনাও লেখক কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে বলে গেছেন অতি সাবলীল ভাবে।আত্মকথনের মাধ্যমে নিজের জীবনের উমরাহ পালনের অভিজ্ঞতা যখন তিনি বলছিলেন তখন মনের মধ্যে এই লাইনটা আসছিলো অশ্রুসজল নয়নে:মন যে আমার ছুটে চলে সোনার মদীনায় রেহ।
ঐ মরুভূমির উতপ্ত বালুকাকে ছুঁয়ে ইসলামের বিজয়কে অনুভব; নবীজির রওজা;হযরত ইব্রাহিম (আ)এর তৈরি আল্লাহ্র ঘর কাবাকে খুব কাছ থেকে দেখার সাধ জেগে বসবে আলহামদুল্লিলাহ ।লেখক কি চমত্কার করে ব্যাখ্যা দিলেন কি করে নিজের আত্মাকে হাজার ভুলের পরেও হতাশ না হয়ে পরিশুদ্ধির পরশে স্রষ্টার ভালোবাসায় সিক্ত করতে হয়।
বাকিটা বললে আর মজা থাকবেনা।যাই হোক আমার এক কথায় মনে হয়েছে লেখকের প্রতিটা উপলব্ধি যেন আমার উপলব্ধিগুলো এবং অজানা অনেক জিজ্ঞাসার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।আলহামদুল্লিলাহ আল্লাহ্ লেখককে সুস্থ সুন্দর রাখুন এবং আরো সুন্দর লেখার তৌফিক দিন।
#বইটি কেন পড়বেন?:
বইটিতে অনেক বিষয়াদি আছে যা কুরআন ;সুন্নাহ এবং নানাবিধ তাফসীর ;ফিকহ থেকে নেওয়া।গল্পে গল্পে বিভিন্ন অজানা বিষয়ে জানবেন।প্রথম থেকে শেষ অব্দি আপনার মনে হবে আপনি গল্প শুনছেন আর গল্প করছেন লেখক এর সাথে।লেখক আপনার সঙ্গে আপনার স্রষ্টার একটা সম্পর্ক সৃষ্টি করতে প্রথম থেকে শেষ অব্দি যে ক্ষুদ্র প্রয়াসের চেষ্টা করছেন লাস্টে আপনি একটা সুন্দর জীবন গঠনের চেষ্টায় প্রাণিত হবেন যার উদ্দেশ্য হবে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর ভালোবাসাতে নিজেকে উৎসর্গ করা।
জাযাকাল্লাহি খাইরান
#ইসলামি_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_ডিসেম্বর_২০১৮

Samira Bintay Basher



--------





"মাকতাবাতুল বায়ান ইসলামি বই গ্রুপ রিভিউ প্রতিযোগিতা ডিসেম্বর ২০১৮"
.
.

বইয়ের নাম : জাদুর বাস্তবতা



সংকলক : শোঅাইব অাহমাদ
ভাষা সম্পাদনা : হাসান মাসরুর
শরয়ী সম্পাদনা : মুফতি তারেকুজ্জামান
প্রকাশনায় : রুহামা পাবলিকেশন
প্রথম প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০১৮ ঈসায়ী
বইয়ের মূল্য : ১৫০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০৯ + (পাঠকদের পৃষ্ঠা সংখ্যা- ২)
.
.
অাজ সমাজের পরতে পরতে অজ্ঞতা জাপটে ধরেছে সাধারন মুসলমানদের ৷ জীবনের এমন কোন দিক নেই যার সমাধান ইসলাম অামাদের দেয়নি ৷ কিন্তু অামরা হতভাগা; তা অনুধাবন করতে পারিনি ৷ পৃথিবীতে সৃষ্ট সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে পবিত্র কুরঅান ও হাদিসে ৷ অামাদের সমাজে অনেক সময় জ্বিন-জাদু, বদ-নজর সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হয়ে থাকেন ৷ এগুলোরও যে চমৎকার সমাধান কুরঅান ও হাদিসে বর্ণিত অাছে তা "জাদুর বাস্তবতা" নামক বইটি অধ্যয়ন না করলে জানতেই পারতাম না ৷
.
প্রিয় পাঠক, চলুন "জাদুর বাস্তবতা" বইয়ে সংকলক যে সকল বিষয় নিয়ে অালোচনা করেছেন তা জেনে অাসা যাক...৷
♦️বই রিভিউ :
সংকলক বইটিকে দুটি অংশে সংকলন করেছেন ৷ জ্বিন ও জাদু এবং বদ-নজর ৷
.
জাদু কথাটি শুনলেই কেমন যেন এক অতিপ্রাকৃত শক্তির কথা মনের কোনে উঁকি দেয় ৷ অাচ্ছা, জাদুর কি অাদেও কোন অস্থিত্ব অাছে ? যদি থেকেও থাকে; তবে জাদু বিষয়টিই বা কি..? অার কি ভাবে এবং কিসের সাহায্যে জাদু করা হয়..? অাচ্ছা, জ্বিন শয়তান কি জাদুর সাথে সম্পৃক্ত...? জ্বিন-জাদু নিয়ে অামাদের মনের কোনে এরকম নানা প্রশ্ন জমে থাকে ৷ অার সংকলক বক্ষ্যমাণ বইটি সাজিয়েছে অাপনার অামার এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মনের কোনে জমা এরকম নানা প্রশ্ন ও তার সমাধান নিয়ে ৷
.
প্রিয় পাঠক; সংকলক বইয়ের শুরুতেই জাদু কি..? তার শাব্দিক অর্থ এবং শরীয়তের পারিভাষিক অর্থ তুলে ধরেছেন ৷ অার হ্যাঁ অাপনি বইটি সামনের দিকে যত পড়তে থাকবেন, ততোই অাপনার মনে জমা নানা প্রশ্নের জবাব পেতে থাকবেন ৷
♦️জ্বিন শয়তান ও জাদুর সম্পর্ক :
জ্বিন শয়তান ও জাদুর মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান ৷ এমন কি জাদুর ভিত্তিই হচ্ছে জ্বিন ও শয়তানসমূহ ৷
.
অামাদের সমাজের অনেক মানুষ অাছে যারা জ্বিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং এটার উপর ভিত্তি করে তারা জাদুর প্রভাবকেও অস্বীকার করে ৷
সে সব মানুষদের চোখে অাঙ্গুল দিয়ে সংকলক কুরঅান-হাদিস এবং অাসলাফদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, জ্বিন ও জাদুর অস্তিত্ব বিদ্যমান ৷
♦️জ্বিন :
জ্বিন জাতি অামাদের সাথেই বসবাস করছে এবং তারা বুদ্ধিমান ও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী এক অদৃশ্য জাতি ৷ তারা অামাদের দেখতে ও শুনতে পায় কিন্তু অামরা তাদের দেখতে ও শুনতে পাই না ৷ তারা এমন কিছু করতে পারে এবং এমন জায়গায় যেতে পারে যা মানুষের সাধ্যের বাহিরে ৷
♦️জাদু বিদ্যা :
প্রিয় পাঠক, সংকলক জাদুর বাস্তবতার দলিল দেওয়ার পাশাপাশি জাদুর প্রকার,জাদুর সূচনা, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অারবদেশ সমূহে এ বিদ্যা ছড়িয়ে পরার প্রকৃত ইতিহাস সুনিপন ভাবে দালীলক ভাবে তুলে ধরেছেন ৷ অাপনি যত সামনের দিকে পড়তে থাকবেন বইটি ততো অাপনার চোখের সামনের পর্দা খুলে দেবে ৷ এছাড়াও সংকলক, ইহুদিদের জাদুর মাধ্যমে জ্বিনকে ব্যবহার এবং সুলাইমান (অাঃ) প্রতি তাদের মিথ্যাচারের বিষয় সুরা বাকারার ১০১-১০৩ নং অায়াতের উদ্ধৃিতর মাধ্যমে ৩৭-৩৯ পৃষ্ঠায় চমৎকার ভাবে খন্ডন করেছেন ৷
♦️জাদুকরের জাদু শিক্ষা :
মানুষের মাঝে এমন কিছু মানুষ অাছে যারা জেনে বুঝে অাল্লাহর ইবাদত বাদ দিয়ে নিষ্ঠার সাথে জ্বিন শয়তানের ইবাদত করে এবং তাদের খুঁশি করে নিজের নিকৃষ্ট স্বার্থ হাসিল করে ৷
.
জাদুকর শয়তানের ইবাদত করতে করতে নিজেই একটা অাস্ত শয়তানে পরিনত হয় ৷ তখন তার দ্বারা সকল শয়তানি কাজ করা মামুলী ব্যাপার হয়ে যায় ৷ এ জন্য দেখবেন জাদুকররা অন্যের ক্ষতি করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধাবোধ করে না ৷ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কচ্ছেদ, অন্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি, স্বাস্থ্যের ক্ষতি, এমন কি হত্যা পর্যন্ত করে ৷
.
জাদুকররা এতটাই নিকৃষ্ট, প্রিয় পাঠক বইটি পড়লে জানতে পারবেন কি ভাবে তারা জ্বিন শয়তানদের খুঁশি করে তাদের থেকে কার্য হাসিল করে ৷ শয়তান এত উদার না যে, কেউ কিছু চাইলেই তাকে এমনি এমনি তা দেবে ৷ এ কারনে জাদুকররা জ্বিন শয়তানদের খুঁশি করে তাদের থেকে কার্য হাসিলের জন্য এমন সব গর্হিত কাজ করে যা জানলে অাপনি শিহরিত হয়ে উঠবেন ৷ প্রিয় পাঠক, মনের অজান্তেই চাইবেন জাদুকরকে টেনে হেচরে টুকরো টুকরো করি ৷ তার কর্ম গুলো কোন মুসলিমের সহ্য হওয়ার কথা না ৷
.
কিছু কর্ম তো তাদের এই যে, শয়তানকে খুঁশি করতে তারা কুরঅানকে পায়ে বেঁধে টয়লেটে যায়, কুরঅানের অায়াত লিখতে বিভিন্ন নাপাক জিনিস এমন কি মহিলাদের ঋতুস্রাবের রক্ত ব্যবহার করে ৷ অারও জঘন্য কুকর্ম যিনা করার ক্ষেত্রে তারা তাদের মা, মেয়ে বা বোনকে নির্বাচন করে ৷ এছাড়াও অারও অনেক জঘন্য ও গর্হিত কাজ করে তা সংকলক বক্ষ্যমান বইটির ২৫-২৬ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন ৷
♦️শরীয়ার দৃষ্টিতে জাদুকর :
প্রিয় পাঠক, শরীয়ার দৃষ্টিতে জাদুকরের জাদু শিক্ষার বিধান, জাদুকরের শাস্তি, সে কাফের কি না ? শরীয়ত তাকে তাওবার সুযোগ দেবে; নাকি হত্যার হুকুম দেবে..!!! অামাদের অাসলাফরাই বা; কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন জাদুকরের বিরুদ্ধে ৷ এ বিষয় গুলো জানতে হাতে তুলে নিতে হবে বক্ষ্যমাণ বইটি ৷
♦️বদ-নজর :
প্রিয় পাঠক জ্বিন-জাদুর মত বদ-নজরেরও বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে না ৷ সংকলক কুরঅান হাদিসের দলিল দিয়ে বদ-নজরের বাস্তবতা, কিভাবে বদ-নজর লাগে, এর কুপ্রভাব ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছেন ৷
অার প্রিয় পাঠক, বদ-নজর যে কতটা ভয়াবহ তা বক্ষ্যমাণ বইয়ের ৮৯-৯০ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত তিনটি ঘটনার পাঠেই বুঝে অাসবে ৷ যেমনটা অামি বুঝেছি...? বদ-নজর যে এত ভয়াবহ; বক্ষ্যমাণ বইটি পাঠের পূর্বে কল্পনাও করিনি ৷
♦️জ্বিন ও জাদুর চিকিৎসা :
প্রিয় পাঠক, সংকলক বক্ষ্যমাণ বইটিতে শুধু জ্বিন-জাদু অার বদ-নজরের বাস্তবতা উল্লেখ পূর্বক দলিল দিয়েই শেষ করেননি ৷ বরং উম্মার সাধারন মুসলিমদের কেউ উপরোক্ত বিপদের সময় কি করবে, কার নিকট যাবে, এছাড়া কি কি অামল করলে এসকল বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে তার চমৎকার দালিলিক বর্ণনা দিয়েছেন ৷
.
জ্বিন-জাদু বা বদ-নজরে অাক্রান্ত হয়ে অামরা কার কাছে যাব চিকিৎসা নিতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...৷ অামরা কি কোন জাদুকরের কাছেই যাব চিকিৎসার জন্য; যেমনটি অামাদের সমাজের অজ্ঞ মানুষেরা যায় ৷ না...; কখনো না ৷ এটা অনুচিত, কারন এতে ঈমান হারা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে ৷
.
অার এ কারনে সংকলক বইটির মাধ্যমে অামাদের জানিয়েছে প্রকৃত রূহানী চিকিৎসা কি এবং যে সকল অভিজ্ঞ ও মুত্তাকী চিকিৎসক এরকম চিকিৎসা করেন তাদের চিনার অালামতই বা কি...? যাতে করে অামরা যেন কোন জাদুকরের খপ্পরে না পরি ৷ এমন জটিল সমস্যার সুন্দর সমাধান হলো "জাদুর বাস্তবতা"
.
পরিশেষে সংকলক ১০৯ পৃষ্ঠায় পাঠকদের প্রতি চমৎকার একটি অাহ্বান রেখে লেখা শেষ করেছেন ৷ যে অাহ্বানের মধ্যে উম্মার প্রতি সংকলকের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্পষ্ট হয়েছে ৷
.......................
♦️অামার মন্তব্য :
বইটির প্রচ্ছেদ; মাশাঅাল্লাহ নামের সাথে চমৎকার কম্বিনেশন ৷ বইটির বাঁধায় খুবই সুন্দর হয়েছে ৷ বইয়ের ভিতরে সাদা কাগজের ব্যবহার বইটি পড়তে অারামদায়ক করে তুলেছে ৷ পাঠক বইটি যেহেতু ছোট তাই পড়তে বিরক্তি অাসার সুযোগ নেই ৷ অার অামি মনে করি বইটি অালিম-অাওয়াম সকলের ঘরে থাকা উচিত ৷
.
সংকলকের প্রশংসা না করলেই নয়; সুন্দর ও সাবলিল ভাষায় বইটি রচনা করেছেন ৷ ভাষা শৈলীতে সংকলকের, বইয়ের মতই জাদু অাছে ৷ অামি মন থেকে সংকলকের জন্য অাল্লাহর কাছে তাঁর ইলমের উত্তর উত্তর বৃদ্ধির দুয়া করি; এতো সুন্দর প্রয়োজনীয় বই সংকলনের জন্য ৷
.
বইটির সমালোচনা করার মত যোগ্যতা এবং ইলম অামি অধমের নেই ৷ অার ভুল কোন কিছু অামার চোখে পরেও নি ৷






-------------------------------


"মাকতাবাতুল বায়ান ইসলামি বই গ্রুপ রিভিউ প্রতিযোগিতা ডিসেম্বর ২০১৮"

বই: খুশূ- খুযূ। লেখক: ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ।ভাষান্তর: মাসউদুর রহমান।


প্রচ্ছদ মূল্য:১২৫টাকা।
প্রকাশক : সমকালীন প্রকাশন।
পৃষ্ঠা নং: ৮৬।

" জীবনে সফল হবার কত উপায়ই চারদিকে শুনতে পাই।
কত সেলেব্রেটি, কত মোটিভেশনাল স্পিকার আমাদের সফল হবার পথ বাতলে দেয়। সেই পথ ধরে চলতে চলতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ক্লান্ত শ্রান্ত দেহে আমরা বুঝতে পারি আসলে এসব সফল হবার উপায় ছিল না মোটেই , বরং অসফল হবার ফাঁদ ছিল। কেমন হয় যদি সফল হবার পথ বাতলে দেয় স্বয়ং বিশ্ব জাহানের অধিপতি ?"
" সেসকল মুমিনরা সফল হয়েছে যারা নিজেদের সলাতে
বিনয়ী। "
[ সূরা মু' মিনুন , আয়াত : ১-২]।

#কিছু_তথ্য
আল্লাহ্‌ তা'লা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আর অপর সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য । হাদিসে কুদসীতে এসেছে -------
আল্লাহ তা'লা বলেন --
" হে আদম সন্তান , আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার জন্য। বাকি সব সৃষ্টি করেছি তোমার জন্য। সুতরাং তোমার ওপর আমার কিছু হক রয়েছে। সেসব বস্তু যেন তোমাকে আমার হক থেকে ব্যস্ত না রাখে , যা তোমার জন্যে সৃষ্টি করেছি "।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সালাতকে এমন একটি মাধ্যম বানিয়েছেন যার দ্বারা বান্দা তাঁর নৈকট্য অর্জন , তাঁর সাথে একান্তে কথা বলা , তাঁর ভালোবাসা, দয়া এবং ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করার সুযোগ পায়।
কিন্তু সালাতের মতো এতো মর্যাদা পূর্ণ একটি ইবাদত এ যদি খুশু - খুজু না মেনে চলা হয় তবে সেই সালাত অর্থহীন হয়ে পড়ে। সালাতের সকল সওয়াব হতে বান্দা বঞ্চিত হয়ে যায়।
উক্ত বইটিতে সালাতে খুশু খুজু বজায় রাখার বিষয়েই বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ আলোচনা হতে তথ্য তুলে ধরা সময়সাপেক্ষ এজন্যে সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাঠক দের জন্যে তুলে ধরছি ------

সালাতে মনোযোগের তিনটি ধাপ 




সালাতে মনোযোগের তিনটি ধাপ রয়েছে :

এক---- প্রথম ধাপে বান্দা টার অন্তরকে একমাত্র আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট করে। ফলে এটি তার অন্তরকে নিরাপদ রাখে। নাফ্সের অসুস্থতা , শয়তানের প্ররোচনা এবং সালাতের জন্য ক্ষতিকর ও সাওয়াব বিনষ্টকারী সকল কাজ ও চিন্তা থেকে অন্তরকে রক্ষা করে।
দুই---- এই ধাপে পৌঁছলে বান্দা আল্লাহর ইবাদতে এমনভাবে মগ্ন হয়, যেন সালাতে সে আল্লাহ কে দেখতে পাচ্ছে।
তিন ----তৃতীয় ধাপে পৌঁছে যায় যখন বান্দা কুরআন তিলাওয়াতের সময় এর অর্থের প্রতি মনোযোগ দেয় এবং এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারে , যখন সে ইবাদতের বিভিন্ন দিকগুলোর রহস্য ভেদ করে , বিনয় এবং প্রশান্তির সাথে সেগুলো আদায় করে।
যদি কেউ এ তিনটি ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করে, তার সালাত যথাযথ ভাবে আদায় হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। এর বিনিময়ে তখন সে আল্লাহর নিকট থেকেও পূর্ণ মনোযোগ লাভ করবে।
তবে যদি কেউ এই তিনটি ধাপে না থাকে তো এখনই সময় নিজের স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার নতুবা আপনি সালাত আদায় করেও বিপদগ্রস্ত এবং কিয়ামত দিবসে এমন ব্যক্তিদেরকে পাকড়াও করা হবে।
সালাতের প্রতিটি কর্মে মনোযোগ বাড়ানোর উপায়
আল্লাহর সমুক্ষে বান্দার বিনীতভাবে দন্ডায়মান অবস্থা তখনই ফলপ্রসূ হয়, যখন তার পূর্ণ মনোযোগ কেবল আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকে এবং সে ডানে বামে তাকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
∆ যখন বান্দা সালাতে দাঁড়াবে , তখন ভাববে , সে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছে। তার পূর্ণ মনোযোগ কেবল আল্লাহর দিকে নিবিষ্ট থাকবে। সে স্মরণ করবে মহান রবের মহানুভবতা ও বৈশিষ্ট্যের কথা যা তাকে ডানে বামে তাকানো থেকে বিরত রাখবে।
∆ যখন 'তাকবীর ' বলবে , তার মহত্ব ও মাহাত্ম , সন্মান ও ইজ্জতের কথা স্মরণ করবে। ভরাট কণ্ঠে " আল্লাহু আকবর " বলে সালাত শুরু করবে।
∆ সানা পড়ার সময় তার তাসবীহ , হামদের প্রতি মনোযোগী হবে , এবং ঘোষণা করবে --- মানবীয় গুণাবলী , যাবতীয় দোষ --- ত্রুটি থেকে তাঁর সত্তা পবিত্র। তিনি আর সকল গুনে পূর্ণাঙ্গ।
∆ যখন আ ' উজুবিল্লাহ ......' পড়বে , ভাববে আল্লাহর শক্তি ও শক্তিমত্তার কথা। তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ের কথা। শত্রু থেকে বান্দাকে রক্ষা করা এবং নিরাপত্তাদানের কথা।
∆ যখন তিলাওয়াত করবে তখন সে যা তিলাওয়াত করছে তার অর্থের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং কালামুল্লাহর গভীরে এমনভাবে পরিভ্রমণ করবে যেন সে কালামুল্লাহর মধ্যে আল্লাহ কে দেখতে পাচ্ছে।
∆ যখন রুকু করবে , তখন প্রতিপালকের শান- শওকত , ইজ্জাত ও আজমত , মহিমা ও পূর্ণতার কথা মনে করবে। আর পড়বে ' সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম "।
∆ অতঃপর যখন রুকূ থেকে সোজা হয়ে স্থিরতার সাথে দাঁড়াবে। তাঁর হামদ , সানা ও তামজীদ করবে। যবানের সাথে হৃদয় কেও যুক্ত রাখবে এবং তার বন্দেগী , প্রতিদান ও সাজা দানের একক ক্ষমতার কথা স্মরণ করবে।
∆ যখন বান্দা সিজদায় লুটিয়ে পড়বে , তখন সে কেবল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'লার নৈকট্য লাভে মনোযোগী হবে। দাসের মতো নিজের অহমিকা ও অস্তিত্ব মিটিয়ে দেবে মহান রবের সামনে।
∆ যখন সে সিজদা থেকে মাথা তুলে আসামীর মতো হাঁটু গেড়ে বসবে , তখন সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তালা র অমুখাপেক্ষিতা ও উদারতার কাছে নিজের মুখাপেক্ষিতা ও প্রয়োজনের কথা তুলে ধরবে। একাগ্রচিত্তে বিনয়াবত হয়ে রাহমাত , মাগফিরাত , হিদায়াত , সুস্থতা ও রিযক চাইবে।
∆ এরপর বৈঠক। এটা সালাতের সর্বশেষ অবস্থা ও ইবাদত। যার দৃষ্টান্ত হলো হজের বিদায়ী তাওয়াফ এর মতো। তখন সে ভাবতে শুরু করে ----- তার সালাত পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পথে এবং পূর্ণাঙ্গ হলেই তার এই শান্তি ও রাহমাতবেষ্টিত অবস্থা থেকে বের হয়ে তাকে পার্থিব বিভিন্ন ব্যস্ততা, অস্থিরতা ও যন্ত্রনায় ফিরে যেতে হবে , যে অবস্থায় সে সালাতে আসার পূর্ববর্তী সময়ে ছিল। সালাতের বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে যেতে তার খারাপ লাগবে। সে ভাববে হায়! যদি কিয়ামত পর্যন্ত সময়টা সালাতেই কাটিয়ে দেওয়া যেত !
∆ সালাত আদায়কারী যখন সালাত শেষ করে , তখন সে আল্লাহর সাথে কথা বলা , সকল প্রকার সুখ ও সৌভাগ্যে ডুবে থাকা থেকে বেরিয়ে আসে। অভিশপ্ত দুনিয়ার দিকে ধাবিত হয়। এটা কেবল ওই ব্যক্তি ই অনুধাবন করতে পারে , যার হৃদয় জাগ্রত। রাব্বে কারীমের স্মরণ, মুহাব্বত ও দয়ার বর্ষণে সিক্ত। আর যার বক্ষ সংকীর্ণ , ওই ব্যক্তি সালাতের স্বাদ এবং সালাত থেকে বেরিয়ে আসার মর্ম ব্যথা কখনো উপলব্ধি করতে পারবে না।
খুশু--খুযু বিহীন সালাতের উদাহরণ ________
এমন ব্যক্তির জন্যে সালাত হলো শাস্তি ! অঙ্গ -- প্রত্যঙ্গর জন্যে শিকল। এতে ফরজিয়াত অবশ্য পালন হবে। কিছু সওয়াব সে পাবে। গুনাহ মাফ হবে এবং প্রভুর রাহমাত ততটুকুই পাবে , যতটুকুর সে উপযুক্ত। তবে সালাতে যে ত্রুটিগুলো সে করেছে , তার জন্যে একদিন সে কঠোরভাবে পাকড়াও হবে।
খুশু--খুযু ওয়ালা সালাতের উদাহরণ __________
এমন ব্যক্তির জন্য সালাত হলো ফুলের বাগানের মতো। আত্মার প্রশান্তি। চোখের শীতলতা। নাফ্স ও অঙ্গ-- প্রত্যঙ্গের সুখ। সে সলাতে আল্লাহর নিয়ামত ভোগ করে। তার স্বাদ আস্বাদন করে। এমন নিয়ামত যা সর্বদা নতুন। তারা সলাতের দ্বারা যা লাভ করে তা তো পা-ই , সাথে লাভ করে বিশেষ নৈকট্য ও মর্যাদা।
গান --- বাজনার সূক্ষ্ণ একটি বিষয় 
যারা গানের মাঝে ইসলাম খোঁজে , তাদের অবস্থা এমন যে , তারা যেকোনো পাত্রেই পান করে। পিপাসা নিবারণ করে। হোক সেটা মৃতপ্রাণীর হাড্ডি , কুকুর বা শুয়োরের চামড়া থেকে তৈরী কোনো পাত্র , কিংবা মদের পেয়ালা , যাতে মদ লেগে আছে। বস্তুত তারা ওই সকল কাকের মতো , যারা স্বচ্ছ পানি পান করে আবার নর্দমায়ও মুখ দেয়। এতে তার কিছুই আসে যায় না। পান করার দ্বারা তার তৃষ্না নিবারণ হয় ঠিকই , কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ লেগে থাকে।
কিছু মানুষ আছে যারা মিথ্যা , বানোয়াট ও অর্থহীন সব কাব্য ও গান শোনে আত্মতৃপ্তি লাভ করে। তারা মূলত নোংরা পাত্রে নাপাক পানি পান করে। প্রবৃত্তির দাস এরা ভালো মন্দ পার্থক্য করার অনুভূতি টুকুও তাদের নেই। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যারা নেককার তারা শুধু কোরআন পড়ে , কোরআন শোনে। তারা পবিত্র পাত্রে অমিয় সুধা পানকারী।
****বস্তুত যারা গান-বাজনার মাঝে আত্মতৃপ্তি পায়, তাদের অন্তর সলাতে প্রশান্তি পেতে ব্যর্থ। বইটিতে সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। ****
#ব্যক্তিগত_মতামত
বইটি পড়ার আগে সত্যিই সলাতে মনোযোগী ধীর --স্থিরতার ব্যাপারে আমি অসচেতন ছিলাম (আল্লাহ মাফ করুন )। কিন্তু আমার রবের মর্জিতে বইটি আমার জন্যে আমার রবের আরো নিকটতর হবার জারিয়াহ হয়ে গেলো। খুসু --- খুযুর ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করা মাত্রই মনে হচ্ছিলো এখনই দু রাকাত সলাত আদায় করি। এখন আমি খুশু---খুযুর সহিত সলাত আদায় করছি , আলহামদুলিল্লাহ 
সলাত বান্দার জন্যে আল্লাহর নিকট বর্তী হওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। যে ব্যক্তি এটা হারালো সে যেন পুরো পৃথিবী হারানোর চেয়েও বেশী কিছু হারিয়ে ফেললো ! এমন ব্যক্তির ন্যায় হতভাগা আর কে হতে পারে !?
যারা বইটি পড়েননি অতিশিগ্রহি পড়ে ফেলুন এবং ওদানুযায়ী আমল করে নিজের রবের নৈকট্য লাভ করুন।
মহান আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে খুশু--খুযুর সাথে সলাত আদায় করার তাওফিক দান করেন। আমিন।
সম্মানিত লেখককেও আল্লাহ যেন উত্তম জাযা দান করেন। আমিন।
[বি.দ্র] ------ আমি যে ছবিটি সংযুক্ত করেছি সেটার কনসেপ্ট এর বিষয়ে বলতে চাই যে ---- আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছবিতে এক দিকে শুকনা পাতা একদিকে সবুজ সজীব পাতা। এই দু'ধরনের পাতা আমার মতাবেক কিছু অর্থ বহন করে। সেটি হল-----
" শুকনা পাতা গুলো হলো সে ব্যক্তির জীবনের মতো যার জীবনে আল্লাহর নৈকট্য নেই, নেই তার সলাতে খুসু--খুযু। যার অন্তর মরে গিয়েছে।"
"এবং সবুজ পাতা গুলি সেই ব্যক্তির জীবনের ন্যায় যার জীবন এ আল্লাহতালা র নৈকট্য আছে, সলাতে খুসু- খুযু আছে। যার অন্তর আল্লাহর মুহাব্বতে সজীব ও সতেজ হয়ে উঠেছে। "


------------------------------------





রিভিউ_লেখায়_যা_লক্ষণীয়ঃ
১. যে বইয়ের রিভিউ লিখবেন, তা অবশ্যই ইসলামি বই হতে হবে। এবং রিভিউ যথাসম্ভব নির্ভুল বানানে লিখতে হবে।
২. রিভিউয়ের শুরুতে "রুহামা পাবলিকেশন ইসলামি বই গ্রুপ রিভিউ প্রতিযোগিতা- অক্টোবর ২০১৮" কথাটি বাধ্যতামূলকভাবে লিখতে হবে।
৩. রিভিউ শেষে হ্যাশ ট্যাগে #ইসলামি_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_অক্টোবর_২০১৮কথাটি লিখতে হবে। অন্যথায় তা রিভিউ প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হবেনা।
৪. রিভিউর সাথে অবশ্যই বইয়ের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
৫. প্রতিযোগিতার রিভিউ পূর্বে কোথাও দিয়ে থাকলে, এই রিভিউটি প্রতিযোগিতার জন্য বাতিল বলে গণ্য হবে।
৬. রিভিউ প্রতিযোগিতা চলাকালীন এই রিভিউ অন্য কোথাও পোস্ট করা যাবেনা।
৭. রিভিউ শুধু পজিটিভ বা ইতিবাচক হতে হবে এবং প্রশংসামূলক হতে হবে; এমন নয়। গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবেন। বইয়ের তথ্যগত ভুল, মুদ্রণজনিত সমস্যা ইত্যাদি থাকলে তাও রিভিউয়ে উল্লেখ করতে পারবেন।
৮. এমন বইয়ের পজিটিভ রিভিউ গ্রহণযোগ্য হবেনা, যেসব বই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক।
৯. একজন যত খুশি তত রিভিউ দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে দিতে হবে।
১০. রিভিউ ছোট বড় দুইভাবেই দিতে পারবেন। ইলমী আলোচনা না থাকলে, রিভিউ বেশি দীর্ঘ না করাই ভালো। গোছালো, পরিপাটি রিভিউ সেরা রিভিউয়ের জন্য অগ্রাধিকার পাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
ক) রিভিউ প্রতিযোগিতায় এডমিন প্যানেলের কেউ অংশগ্রহণ করবে না।
খ) প্রত্যেকটি রিভিউ-র স্বত্ব গ্রুপের থাকবে। রিভিউ লেখক ছাড়া অন্য কেউ গ্রুপের কার্টেসি ব্যতীত এই রিভিউগুলো অন্যত্র পোস্ট করতে পারবেনা।
গ) রিভিউ প্রতিযোগিতার পুরো বিষয় এডমিন প্যানেলের নিয়ন্ত্রণাধীন। সুতরাং যেকোনো সময় এডমিন প্যানেল যেকোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
তো, নিয়মগুলো মেনে রিভিউ লিখতে বসে পড়ুন। বেশি বেশি রিভিউ লিখুন- সবাইকে বই পড়তে উৎসাহিত করুন। এবং রিভিউ লিখিয়ে বন্ধুদের আমন্ত্রণ করুন রিভিউ প্রতিযোগিতায়।




----------------------------------------

No comments